শা*রী*রিক মেলামেশা শেষে আয়েশার বুকের ওপর থেকে নেমে একগ্লাস পানি খেয়ে আয়েশার বুকে মাথা রেখে সুলেমান বললো– চলো আজ রাতেই আমরা সেই ভালোবাসার বীজ বপন করি যে বীজ অঙ্কুরিত হয়ে তোমাকে মাতৃত্বের স্বাদ দেবে
শা*রী*রিক মেলামেশা শেষে আয়েশার বুকের ওপর থেকে নেমে একগ্লাস পানি খেয়ে আয়েশার বুকে মাথা রেখে সুলেমান বললো– চলো আজ রাতেই আমরা সেই ভালোবাসার বীজ বপন করি যে বীজ অঙ্কুরিত হয়ে তোমাকে মাতৃত্বের স্বাদ দেবে
সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের দেহ ভোগ করে আমাবস্যা রাতে সেই মেয়েদের ন-গ্ন অবস্থায় গভীর অরণ্যে গাছের সাথে বেধে বিষাক্ত তীর ছুড়ে একে একে হ-ত্যা করে অত্যাচারী রাজা লুইস।
তারপর তাদের শরীরের রক্ত দিয়ে গোসল শেষে মেয়েদের নিষ্প্রাণ দেহ গুলো সেই গভীর অরণ্যে মাটিচাপা দেয়া হয়, আর যেখানে যেখানে মাটিচাপা দেয়া হয় সেখানে একটি করে গোলাপের গাছ রোপণ করা হয়। এখানের গোলাপ গাছে ফুল ফোটে কিন্তু তার রং কালো। এই ফুলে কখনও ভ্রমর, প্রজাতি, অথবা মৌমাছি বসেনা, শোনা যায় এই কালো গোলাপের মধু ভয়ঙ্কর বিষাক্ত। এবং রাজা লুইস লোকজন দিয়ে এই ফুল সংগ্রহ করায়, তারপর এই কালো গোলাপ ছেঁচে এর রস বের করে সেই রস প্রতিটি তীরের ডগায় মাখিয়ে নেয়। এই রস এতটাই বিষাক্ত যে তীর কারো শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে হৃদপিণ্ড বিকল হয়ে মৃত্যু অনিবার্য। এই বনের ঠিক এই খানে কেবলমাত্র গোলাপ গাছগুলো ছাড়া অন্যসব গাছ, ঘাসপাতা, লতা সবই মৃত প্রায়। নেই কোনো পাখির কলকাকলি। সারাক্ষণ মৃত্যুপুরীর থমথমে নিস্তব্ধতা। এখানকার প্রকৃতি যেন প্রাণ হারিয়েছে অনেক আগেই রাজা লুইসের নিষ্ঠুরতায়। পাশেই একটা আদি আমলের পুরনো ছোট ঘরের মতন, তার দেয়ালে শেওলা ও পরগাছা ঝুলছে। ঐ ঘরেই নিষ্ঠুর ভাবে সারারাত মেয়েদের দেহ ভোগ করে লুইস। পরপর দশদিন দশটা মেয়ের দেহ ভোগ করে তারপর আমাবশ্যা রাতে তাদের হত্যা করে।
ঠিক আমাবস্যা আসার ঠিক দিন দশেক আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে গায়েব হতে শুরু করে নবযৌবনা মেয়েরা। তারা কোথায় যায় আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি। এবং এই রহস্য ভেদ করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। হবেই বা কি করে। লুইসের এসক কর্মকান্ডে যারা জড়িত তারা সকলেই অত্যন্ত বিশ্বস্ত। আর কেউ ভুলেও যদি লুইসের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে তাহলে তার ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করা হবে সেটা তারা ভালো করেই জানে। রাজা লুইস একজন অপদেবতার পূজারি, সেই অপদেবতাদের সন্তুষ্টির জন্য নবযৌবনা মেয়েদের রক্ত দিয়ে গোসল করে তাদের দেহ মৃত বনে মাটিচাপা দেয়। লুইসের রাজপ্রাসাদে এযাবৎ কেউ আক্রমণ করে রক্ষা পায়নি, রাতবিরেতে কেউ লুইসের প্রাসাদে আক্রমণ করতে এলে সকালে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রাসাদের আসেপাশে। শোনা যায় এসব নাকি ঐ অপদেবতাদের কাজ, তারাই লুইসের রাজপ্রাসাদ রক্ষাকারী।
রাজ প্রাসাদের উত্তরের দিকের ছোট্ট গ্রামের একজন কাঠুরিয়া হলো রহিম। বনে জঙ্গলে কাঠ কেটে সেগুলো বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই সকালে বের হয়ে সারাদিন জঙ্গলে কাঠ কেটে সেগুলো আঁটি বেঁধে অল্প অল্প করে নিয়ে এসে গঞ্জের হাটে বিক্রি করে। অল্পস্বল্প যা রোজগার হয় তাই দিয়ে টেনেটুনে দিন চলে যায়।
আজ কাঠের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে জঙ্গলের অনেক গভীরে চলে যায়। এবং ফেরার সময় মৃত বনের পাশ দিয়ে আসার সময় কালো গোলাপ দেখে থমকে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে গাছ থেকে একটি কালো গোলাপ ছিড়ে হাতে নেয় রহিম। দেখতে দেখতে মেয়েটার বয়স আঠারো হয়ে গেল, আদরের সেই ছোট্ট মেয়ে আয়েশা আজ বড়ো হয়ে গেছে, কিন্তু বাবা হিসেবে মেয়েটির মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দেয়া ছাড়া মেয়ের আর কোনো সখ আহ্লাদ পুরন করতে পারেনি। দুধে আলতা গায়ের রং আয়েশার, দীঘল কালো চুল, চোখদুটো মায়ার সাগর। সৃষ্টিকর্তা যেন রহিমের ঘরে মেয়ে হিসেবে স্বর্গের পরী পাঠিয়েছে।
রহিম এই ভেবে কালো গোলাপ ছিড়ে হাতে নিয়েছে যে– এটা নিয়ে গিয়ে আয়েশাকে দিলে অনেক খুশী হবে।
কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো চোখের পলকে একটা ভয়ঙ্কর কালো সাপ এসে ফনা তুললো। তাই দেখে রহিম ভয়ে দৌড়াতে শুরু করলো, সাপটাও পেছন পেছন রহিমকে তাড়া করছে। অনেক দূরে দৌড়ে আসার পর গাছের শেকড়ে পা আটকে পড়ে যায় রহিম, পা একটুখানি কেটেও যায়। গোলাপটা পায়ের কাছেই পড়েছিল এবং কাটা যায়গা থেকে রক্ত বেরোনোর সাথে সাথেই কালো গোলাপ সেই রক্ত শুষে নেয় সেটা রহিম খেয়াল করেনি।
গোলাপটা তুলে হাতে নিয়ে রহিম খেয়াল করলো সাপটা নেই। গোলাপটা কাঁধে ঝোলানো পুটলিতে ভরে ধীর পায়ে হেটে বন অতিক্রম করে লোকালয়ে আসলো রহিম।
রহিম বাড়ির ভেতর ঢোকা মাত্রই এক হাতে জগ অন্য হাতে পানির গ্লাস হাতে নিয়ে হাসিমুখে উপস্থিত আয়েশা।
ক্লান্ত মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে রহিম বলে– আমি আসলেই তুই কি করে টের পেয়ে যাস মা, তুই কি আমার ফেরার পথ চেয়ে বসে থাকিস?
মিষ্টি হেসে আয়েশা বললো– সে পরে বলবো বাবা, আমি পানি ঢেলে দিচ্ছি তুমি আগে হাতমুখ ধুয়ে নাও।
হাতমুখ ধুয়ে সামনের খোলা বারান্দায় খুটির সাথে হেলান দিয়ে আরাম করে বসে ক্ষানিকটা বিশ্রাম নিয়ে ক্লান্তি দূর করার জন্য চোখ বন্ধ করে রইলো রহিম।
এদিকে উঠোনে আয়েশার পেছন পেছন ঘুরঘুর করছে তার পোষা প্রিয় ছাগল লক্ষী। আয়েশার খোঁপায় গোঁজা বেলি ফুলটা হঠাৎ পড়ে যেতে যেতে একটা প্রজাপতিতে পরিনত হয়ে ছাগল লক্ষীর সামনে সামনে উড়তে লাগলো, আর লক্ষী তাকে ধরার জন্য পেছন পেছন ছুটতে লাগলো।
আয়েশা খপ করে প্রজাতিটা ধরে ফিসফিস করে বললো– মায়া পরী এখন দুষ্টুমি করার সময় নয়, বাবা বিশ্রাম নিচ্ছে তো!
হাতের মধ্যেই প্রজাপতি আবার ফুলে পরিনত হয়ে গেল। ফুলটা খোঁপায় গুঁজে ঘরে গিয়ে একটা বাটিতে করে মুড়ি এবং এক গ্লাস পানি এনে বাবার সামনে রাখলো আয়শা।
মুড়ি খেয়ে রহিম পুটলি থেকে কালো গোলাপটা বের করে হাসিমুখে আয়েশার হাতে দিয়ে বললো– গোলাপটা ভীষণ সুন্দর তাইনা মা, এরকম আগে কোনদিন দেখেছিস।
গোলাপ হাতে নিতেই আয়েশার শরীরের সমস্ত লোম কাটা দিয়ে উঠলো। আয়েশার খোঁপায় গোঁজা ফুলটা আচানক প্রজাপতি হয়ে উড়ে গেল। আর ছাগল লক্ষী হঠাৎ কেমন অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করলো।
শা*রী*রিক মেলামেশা শেষে আয়েশার বুকের ওপর থেকে নেমে একগ্লাস পানি খেয়ে আয়েশার বুকে মাথা রেখে সুলেমান বললো– চলো আজ রাতেই আমরা সেই ভালোবাসার বীজ বপন করি যে বীজ অঙ্কুরিত হয়ে তোমাকে মাতৃত্বের স্বাদ দেবে
সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের দেহ ভোগ করে আমাবস্যা রাতে সেই মেয়েদের ন-গ্ন অবস্থায় গভীর অরণ্যে গাছের সাথে বেধে বিষাক্ত তীর ছুড়ে একে একে হ-ত্যা করে অত্যাচারী রাজা লুইস।
তারপর তাদের শরীরের রক্ত দিয়ে গোসল শেষে মেয়েদের নিষ্প্রাণ দেহ গুলো সেই গভীর অরণ্যে মাটিচাপা দেয়া হয়, আর যেখানে যেখানে মাটিচাপা দেয়া হয় সেখানে একটি করে গোলাপের গাছ রোপণ করা হয়। এখানের গোলাপ গাছে ফুল ফোটে কিন্তু তার রং কালো। এই ফুলে কখনও ভ্রমর, প্রজাতি, অথবা মৌমাছি বসেনা, শোনা যায় এই কালো গোলাপের মধু ভয়ঙ্কর বিষাক্ত। এবং রাজা লুইস লোকজন দিয়ে এই ফুল সংগ্রহ করায়, তারপর এই কালো গোলাপ ছেঁচে এর রস বের করে সেই রস প্রতিটি তীরের ডগায় মাখিয়ে নেয়। এই রস এতটাই বিষাক্ত যে তীর কারো শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে হৃদপিণ্ড বিকল হয়ে মৃত্যু অনিবার্য। এই বনের ঠিক এই খানে কেবলমাত্র গোলাপ গাছগুলো ছাড়া অন্যসব গাছ, ঘাসপাতা, লতা সবই মৃত প্রায়। নেই কোনো পাখির কলকাকলি। সারাক্ষণ মৃত্যুপুরীর থমথমে নিস্তব্ধতা। এখানকার প্রকৃতি যেন প্রাণ হারিয়েছে অনেক আগেই রাজা লুইসের নিষ্ঠুরতায়। পাশেই একটা আদি আমলের পুরনো ছোট ঘরের মতন, তার দেয়ালে শেওলা ও পরগাছা ঝুলছে। ঐ ঘরেই নিষ্ঠুর ভাবে সারারাত মেয়েদের দেহ ভোগ করে লুইস। পরপর দশদিন দশটা মেয়ের দেহ ভোগ করে তারপর আমাবশ্যা রাতে তাদের হত্যা করে।
ঠিক আমাবস্যা আসার ঠিক দিন দশেক আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে গায়েব হতে শুরু করে নবযৌবনা মেয়েরা। তারা কোথায় যায় আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি। এবং এই রহস্য ভেদ করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। হবেই বা কি করে। লুইসের এসক কর্মকান্ডে যারা জড়িত তারা সকলেই অত্যন্ত বিশ্বস্ত। আর কেউ ভুলেও যদি লুইসের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে তাহলে তার ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করা হবে সেটা তারা ভালো করেই জানে। রাজা লুইস একজন অপদেবতার পূজারি, সেই অপদেবতাদের সন্তুষ্টির জন্য নবযৌবনা মেয়েদের রক্ত দিয়ে গোসল করে তাদের দেহ মৃত বনে মাটিচাপা দেয়। লুইসের রাজপ্রাসাদে এযাবৎ কেউ আক্রমণ করে রক্ষা পায়নি, রাতবিরেতে কেউ লুইসের প্রাসাদে আক্রমণ করতে এলে সকালে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রাসাদের আসেপাশে। শোনা যায় এসব নাকি ঐ অপদেবতাদের কাজ, তারাই লুইসের রাজপ্রাসাদ রক্ষাকারী।
রাজ প্রাসাদের উত্তরের দিকের ছোট্ট গ্রামের একজন কাঠুরিয়া হলো রহিম। বনে জঙ্গলে কাঠ কেটে সেগুলো বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই সকালে বের হয়ে সারাদিন জঙ্গলে কাঠ কেটে সেগুলো আঁটি বেঁধে অল্প অল্প করে নিয়ে এসে গঞ্জের হাটে বিক্রি করে। অল্পস্বল্প যা রোজগার হয় তাই দিয়ে টেনেটুনে দিন চলে যায়।
আজ কাঠের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে জঙ্গলের অনেক গভীরে চলে যায়। এবং ফেরার সময় মৃত বনের পাশ দিয়ে আসার সময় কালো গোলাপ দেখে থমকে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে গাছ থেকে একটি কালো গোলাপ ছিড়ে হাতে নেয় রহিম। দেখতে দেখতে মেয়েটার বয়স আঠারো হয়ে গেল, আদরের সেই ছোট্ট মেয়ে আয়েশা আজ বড়ো হয়ে গেছে, কিন্তু বাবা হিসেবে মেয়েটির মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দেয়া ছাড়া মেয়ের আর কোনো সখ আহ্লাদ পুরন করতে পারেনি। দুধে আলতা গায়ের রং আয়েশার, দীঘল কালো চুল, চোখদুটো মায়ার সাগর। সৃষ্টিকর্তা যেন রহিমের ঘরে মেয়ে হিসেবে স্বর্গের পরী পাঠিয়েছে।
রহিম এই ভেবে কালো গোলাপ ছিড়ে হাতে নিয়েছে যে– এটা নিয়ে গিয়ে আয়েশাকে দিলে অনেক খুশী হবে।
কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো চোখের পলকে একটা ভয়ঙ্কর কালো সাপ এসে ফনা তুললো। তাই দেখে রহিম ভয়ে দৌড়াতে শুরু করলো, সাপটাও পেছন পেছন রহিমকে তাড়া করছে। অনেক দূরে দৌড়ে আসার পর গাছের শেকড়ে পা আটকে পড়ে যায় রহিম, পা একটুখানি কেটেও যায়। গোলাপটা পায়ের কাছেই পড়েছিল এবং কাটা যায়গা থেকে রক্ত বেরোনোর সাথে সাথেই কালো গোলাপ সেই রক্ত শুষে নেয় সেটা রহিম খেয়াল করেনি।
গোলাপটা তুলে হাতে নিয়ে রহিম খেয়াল করলো সাপটা নেই। গোলাপটা কাঁধে ঝোলানো পুটলিতে ভরে ধীর পায়ে হেটে বন অতিক্রম করে লোকালয়ে আসলো রহিম।
রহিম বাড়ির ভেতর ঢোকা মাত্রই এক হাতে জগ অন্য হাতে পানির গ্লাস হাতে নিয়ে হাসিমুখে উপস্থিত আয়েশা।
ক্লান্ত মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে রহিম বলে– আমি আসলেই তুই কি করে টের পেয়ে যাস মা, তুই কি আমার ফেরার পথ চেয়ে বসে থাকিস?
মিষ্টি হেসে আয়েশা বললো– সে পরে বলবো বাবা, আমি পানি ঢেলে দিচ্ছি তুমি আগে হাতমুখ ধুয়ে নাও।
হাতমুখ ধুয়ে সামনের খোলা বারান্দায় খুটির সাথে হেলান দিয়ে আরাম করে বসে ক্ষানিকটা বিশ্রাম নিয়ে ক্লান্তি দূর করার জন্য চোখ বন্ধ করে রইলো রহিম।
এদিকে উঠোনে আয়েশার পেছন পেছন ঘুরঘুর করছে তার পোষা প্রিয় ছাগল লক্ষী। আয়েশার খোঁপায় গোঁজা বেলি ফুলটা হঠাৎ পড়ে যেতে যেতে একটা প্রজাপতিতে পরিনত হয়ে ছাগল লক্ষীর সামনে সামনে উড়তে লাগলো, আর লক্ষী তাকে ধরার জন্য পেছন পেছন ছুটতে লাগলো।
আয়েশা খপ করে প্রজাতিটা ধরে ফিসফিস করে বললো– মায়া পরী এখন দুষ্টুমি করার সময় নয়, বাবা বিশ্রাম নিচ্ছে তো!
হাতের মধ্যেই প্রজাপতি আবার ফুলে পরিনত হয়ে গেল। ফুলটা খোঁপায় গুঁজে ঘরে গিয়ে একটা বাটিতে করে মুড়ি এবং এক গ্লাস পানি এনে বাবার সামনে রাখলো আয়শা।
মুড়ি খেয়ে রহিম পুটলি থেকে কালো গোলাপটা বের করে হাসিমুখে আয়েশার হাতে দিয়ে বললো– গোলাপটা ভীষণ সুন্দর তাইনা মা, এরকম আগে কোনদিন দেখেছিস।
গোলাপ হাতে নিতেই আয়েশার শরীরের সমস্ত লোম কাটা দিয়ে উঠলো। আয়েশার খোঁপায় গোঁজা ফুলটা আচানক প্রজাপতি হয়ে উড়ে গেল। আর ছাগল লক্ষী হঠাৎ কেমন অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করলো।
এদিকে অত্যাচারী রাজা সদ্য তুলে আনা একটি মেয়েকে বিবস্ত্র করে তার দেহে ঝাপিয়ে পড়ে দেহ ভোগ শুরু করতেই হঠাৎ থেমে গেল, অশুভ শক্তির বদৌলতেই বুঝতে পারলো কালো গোলাপ অন্য কারো হাতে পড়েছে। একটা চাকু দিয়ে নিজের আঙুল কেটে রক্ত বের করে ছোট্ট একটা পুরনো আমলের আয়নায় দুফোঁটা রক্ত ফেলতেই আয়নায় আয়েশার মুখটা ভেসে উঠলো
চলবে......
গল্পের নাম _ কালো গোলাপ
পর্ব 1
গল্পটা কেমন হইছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
0 Comments