Header Ads Widget

Responsive Advertisement

দুই বোনকে একসাথে বেঁধে রেখে তাদের উপর যৌ*ন খুদা মেটাচ্ছে কিছু লোক। দুই বোনের আত্মচিৎকার কারো কাছে পৌঁছাচ্ছ না । বাচার আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ হয় তাদের, এক জনের পর আরেকজন পালাক্রমে ধ'র্ষণ করেই যাচ্ছে মানুষ নামের জানোয়ার গুলো।

 


দুই বোনকে একসাথে বেঁধে রেখে তাদের উপর যৌ*ন খুদা মেটাচ্ছে কিছু লোক। দুই বোনের আত্মচিৎকার কারো কাছে পৌঁছাচ্ছ না । বাচার আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ হয় তাদের, এক জনের পর আরেকজন পালাক্রমে ধ'র্ষণ করেই যাচ্ছে মানুষ নামের জানোয়ার গুলো। 


এতকিছুর পরেও তারা দুই বোনকে বাঁচতে দিলোনা , হাত জোড় করে প্রান ভিক্ষা চাইলো দুই বোন। কিন্তু তাতেও পাষান গুলোর মন একবারের জন্যও কাদলো না । দুই জন কে পিঠে পিঠ করে বেঁধে সেই বাড়ির জল কুপের মধ্যে জ্যান্ত ফেলে দিলো ।


সিরাজগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জমিদার বাড়ির ঘটনা এইটা। জমিদারের জমজ দুই মেয়ে নুপুর আর পায়েল । তাদের ধ'র্ষণ করে মেরে ফেলার পর সেই জমিদার বাড়িতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতো। কান্নার আওয়াজ ভেসে আসতো, সেই জল কুপের ভিতর থেকে পানি চাইতো কেউ।  


ধীরে ধীরে জমিদার বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়, আজও সেই ধর্ষক দের বিচার হয়নি, তাই নাকি সেই দুই বোনের আত্মা ফিরে এসেছে।  


সূচনা পর্বের পর ""


ঘটনাটা আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগের । আমাদের বাড়ির পাশেই রয়েছে একটা পুরোনো জমিদার বাড়ি, সেই জমিদারের দুই মেয়ে নুপুর আর পায়েল কে ধর্ষণ করে জলকুপে ফেলে দিয়েছিল সেই নরপশুদের দল ।

তারপর সেই জমিদার বাড়িতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাকে , সবাই ভয় পেয়ে বাড়িটি পরিত্যক্ত করে দেয়। আজ প্রায় ২০ বছর হয়ে গেছে বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে পরে আছে। ভয়ে কেউ বাড়িটির দিকে ঘিরেও না। 


একদিন পাশের গ্রামের কয়েকজন লোক সেই জমিদার বাড়ির রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ আকাশ মেঘে ঢেকে যায়, মুশুল ধারায় বৃষ্টি শুরু হয় । তারা উপায় না পেয়ে সেই জমিদার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। দুইতলা বাড়ি। সব কিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছিলো, হঠাৎ নুপুর বাজার শব্দ। মনে হচ্ছে কেউ বা কারা নুপুর বা ঘুঙুর জাতীয় কিছু পরে হাঁটা হাঁটি করছে।  


প্রথমে তারা ভেবেছিল হয়তো তাদের মতেই কেউ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে এখানে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু ক্রমশ শব্দ বেড়েই চলছে, শব্দটা দোতলা থেকে আসছে । এইবার তারা ভয় পেয়ে গেলো , মনে পড়ল এই ভুতুড়ে বাড়ির নানান আজগুবি ঘটনা ।


হঠাৎ একজনের চোখ সেই জল কুপের দিকে পরতেই চিৎকার দিয়ে উঠে । সবাই বিষয়টি বুঝতে জলকুপের দিকে তাকিয়ে দেখে দুটো মেয়ে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় একে ওপর কে জরিয়ে ধরে আছে। তাদের চোখে যৌন কামিনীর ছায়া । 


সবার বুঝতে বাকি রইলো না তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে। ধীরে ধীরে অবায়ব দুটি তাদের কাছে আসতে থাকে । একজন ব্যক্তি বিষয়টি আচ করতে পেরে কানে আঙুল দিয়ে আজান দিতে লাগলো ।


বৃষ্টি ঘেরা আঁকাশ হঠাৎ উত্তল হাওয়া বইতে লাগলো, চারিদিকে দুটি মেয়ের সাহায্য চিৎকার ভেসে আসছে । সবার মুখে আল্লাহ্ র নাম, কিছুক্ষণ পরেই পশ্চিম আকাশে সূর্য উঁকি দিলো, চারিদিকে আজান হচ্ছে। 

সব কিছু শান্ত হয়ে গেলো মুহূর্তে। 


এবারের মত প্রানে বেঁচে গেলো তারা । আমার কথা শুনে ইমরান, মায়া আর আশিক হাসতে লাগলো ।

ইমরান- মামা ভালো গল্প বলিস তো তুই। 


আশিক - এর তো একটা বই লেখা উচিত। 


আমি - এটা মজা নারে ভাই, আমার দাদুর মুখে শুনেছি। 


মায়া - দোস্ত আমি তো প্রথমেই সেই জমিদার বাড়িতে যাবো । ভুত দেখার অনেক ইচ্ছে আমার। 


ইমরান- আরে ধুর তুই যে কী বলিস! ভুত বলতে কিছু আছে নাকি?


আমি- আভিও তো বিশ্বাস করি না , কিন্তু দাদুর কথা শুনে মনে হয় সত্যিই বলেন তিনি ।


আশিক - যাই হোক কী যেনো নাম? হ্যাঁ নুপুর আর পায়েল! দুজনের মধ্যে যেটা বেশি সুন্দরী ওই ভুত আমার। সিঙ্গেল আর থাকতে পারছি না, যদি একটা ভুত ভাগ্যে মিলে তাও ভালো ।


আশিকের কথা শুনে সবাই হাসতে লাগলাম ।

প্রায় ৪ ঘন্টা গাড়িতে থাকার পর অবশেষে আমাদের গ্রামে চলে এলাম। গ্রামে ঢুকতেই আমার শরীরটা কেমন ভারী হয়ে গেল, বুঝলাম না কেনো ।


বাড়িতে ঢুকে সবাই মিলে ফ্রেশ হয়ে দাদুর সাথে গল্প করতে বসলাম।  


আশিক - দাদু আজ আমাদের এখান কার জমিদার বাড়ির গল্প বলেন ।


আমার দাদু অনেক সৌখিন মানুষ, গ্রামের একটা স্কুলে শিক্ষকতায় ছিলেন । 


দাদু- গল্প না ভাই এটা সত্যি, আমি দেখেছি সেই দুইবোনকে । কিন্তু একদিন কে বা কারা সেই ফুলের মত দুটি মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে রেখে যায়। 


অনেকক্ষণ দাদুর গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ ইমরানের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যায়,,


আমি - কিরে ভাই এতো রাতে ডাকছিস কেনো? 


দেখি আশিক , মায়া আর আমার চাচাতো ভাই আবিরও উঠেছে ।


ইমরান- চল এখন আমরা জমিদার বাড়িতে যাবো ।


আমি- মানে এত রাতে ঐখানে যাবো কেনো। 


আশিক- ভ্যান ভ্যান না করে চলতো ।


একরকম জোর করেই আমাকে উঠিয়ে সেই জমিদার বাড়ির রাস্তায় হাঁটা ধরি ।


একটু পরেই সেই জমিদার বাড়িতে পৌছে যায়,


আবির - আরিফ ভাইয়া আমার খুব ভয় লাগছে। 


মায়া - এটা তো দেখি আরিফের থেকেও ভীতু।


আমি - মায়া বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু! আমি মোটেও ভীতু নই। 


ইমরান- এই তোরা থামবি। চল প্রথমে সেই জলকুপের দিকে যাওয়া যাক। এই আবির জলকুপটা কোন দিকে? 


আবির - ঐ বাম পাশে। 


সবাই মিলে জলকুপের কাছে যায়, আশিক ওর ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করে। 


আমি - ক্যামেরা দিয়ে কী করবি ভাই ? ভুতের সাথে সেলফি নিবি নাকি ।


সবাই হাসতে থাকি ""


আমার মনে হচ্ছে অনেকক্ষণ ধরে কেউ আমাদের ফলো করছে। আশিক ক্যামেরা দিয়ে আশে পাশের দৃশ্য শুট করছিলো। হঠাৎ পিছনে তাকিয়ে দেখি মায়া উধাও! এতক্ষণ তো মায়া আমাদের সাথেই ছিলো ?


সবাই মায়া কে খুছতে লাগলাম, মায়ার নাম ধরে ডেকেও কোনো সাড়া নেই ।


হঠাৎ জলকুপের দিকে তাকাতেই চোখ আটকে যায়। মায়া অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় শূন্য দাড়িয়ে আছে জলকুপের উপর ________


চলবে ______


#গল্প_ধর্ষিতা_আত্মা  

#লেখক_আরিফ_ইসলাম 

episode- 01

Post a Comment

0 Comments